নোটিশ বোর্ড

-
জুলাই পূর্নজাগরন অনুষ্ঠান মালাতে আগামী কাল কলেজের অফিস ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ।
-
H S C স্থগিতকৃত পরীক্ষার নতুন সময়সূচী প্রদান করা হলো ,হাতিয়া কলেজ কেন্দ্রে
-
হাতিয়া কলেজে একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তির আবেদন চলছে ।
-
আগামী ২৪/০৭/২০২৫ ইং তারিখের H SC পরীক্ষা স্থগিত
হাতিয়া কলেজ: প্রতিষ্ঠার পটভূমি
নোয়াখালী জেলার দক্ষিণে অবস্থিত বিচ্ছিন্নq দ্বীপ *হাতিয়া* এক সময় শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিকভাবে ছিল একেবারেই পিছিয়ে পড়া একটি এলাকা। বিশেষ করে ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে, যখন পুরো দ্বীপে কোন কলেজ ছিল না, তখন উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ছিল একরকম বিলাসিতা। ঠিক সেই সংকটকালেই কিছু দূরদর্শী ও সমাজ সচেতন ব্যক্তির আন্তরিক উদ্যোগে হাতিয়া কলেজের শুভ সূচনা হয়।
প্রথম এই ভাবনার উৎস ছিলেন সুখচর নিবাসী মরহুম *মাওলানা মোবাশ্বের আহমদ সাহেব। তিনি কলেজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করতেন এবং কবিতার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় এবং **অধ্যাপক ওয়ালী উল্লাহ*'র সক্রিয় প্রচেষ্টায় কলেজ স্থাপনের কাজ বাস্তব রূপ পেতে শুরু করে।
প্রথম দিকের উদ্যোগ হিসেবে, কলেজটি *অধ্যক্ষ সফিউল আলম* এর নেতৃত্বে মফিজিয়া স্কুলে চালু হলেও জমি সমস্যার কারণে তা স্থায়িত্ব পায়নি। পরবর্তীতে অধ্যাপক ওয়ালী উল্লাহ’র প্রচেষ্টায় এবং বিশিষ্ট দানবীর *ডা. সফিয়ুল আলম'র দেওয়া ৫ একর জমির উপর কলেজের মূল কার্যক্রম **আফাজিয়ার* বর্তমান ক্যাম্পাসে শুরু হয়। এই তিন ব্যক্তির— অধ্যাপক ওয়ালী উল্লাহ, অধ্যক্ষ সফিউল আলম ও মাওলানা মোবাশ্বের— সম্মিলিত উদ্যোগে কলেজটির পূর্ণাঙ্গ যাত্রা শুরু হয় *১৯৬৯ সালে*।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান**।
পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৯৭৯ সালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিধিমালা চালু হওয়ায় পূর্বতন প্রতিষ্ঠাতারা তাঁদের বৈধ স্বীকৃতি পান। সেই সূত্রে অধ্যাপক ওয়ালী উল্লাহ কলেজের বৈধ প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে চিহ্নিত হন।
কলেজের বিকাশের ধারাবাহিকতায় হাতিয়ার উত্তর অঞ্চলে আরেকটি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় সাবেক মন্ত্রী **আমিরুল ইসলাম কালাম* সাহেবের উদ্যোগে, যা পরবর্তীতে *প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান* ১৯৭৯ সালে সরকারি কলেজে রূপান্তর করেন।
হাতিয়া কলেজে *ডিগ্রি কোর্স* চালু হলেও কিছুদিন পর তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে *১৯৯৪ সালে* সহকারী অধ্যাপক *শাহ ওয়ালী উল্লাহ এর পরিকল্পনায় এবং একদল তরুণ শিক্ষকের প্রচেষ্টায় সাবেক এমপি অধ্যাপক ওয়ালি উল্লাহ এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম মানছুরল হকের তত্বাবধানে পুনরায় ডিগ্রি কোর্স চালু হয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। এই ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে **২০০১ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ* হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং সরকারিভাবে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার লাভ করে।
পরবর্তীতে ভূ-অবস্থানগত কারণে নলচিরার ভাঙন ইস্যুতে এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় সাবেক এমপি *মোহাম্মদ আলী'র নির্দেশনায় কলেজের মূল ক্যাম্পাস স্থানান্তর করে **বুড়িরচর সাগোরিয়া বাজারের* উত্তর পাশে ৪ তলা ভবনে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত ভবনটি *প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজীম* ২০১১ সালে সরকারি ভাবে বরাদ্দ দেন।
তবে শিক্ষার্থী ও কার্যক্রম বৃদ্ধির কারণে ভবন সংকুলান না হওয়ায়, *৩ একর জমির উপর প্রায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ টিনশেড ভবন* নির্মিত হয় স্থানীয় জনগণ, শিক্ষকমণ্ডলী এবং মোহাম্মদ আলী সাহেবের সহায়তায়।
অন্যদিকে, ১৯৯৪ সালে সহ:অধ্যাপক শাহ ওয়ালি উল্লাহ’র প্রস্তাব ওপরিকল্পনায়এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন এর তত্বাবধানে কলেজে *বিএনসিসি* চালু হয়, যার মাধ্যমে বহু শিক্ষার্থী বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে কর্মরত।
২০২৪ সালে *বাংলাদেশ নৌ- বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান কলেজ প্রাঙ্গণে অবতরণ করে ১০ লাখ টাকা মাঠ উন্নয়ন অনুদান প্রদান করেন। অধ্যক্ষ জনাব *শারফুদ্দীন, সভাপতি **এডভোকেট আব্দুছছালাম, সহ: অধ্যাপক **আবুল খায়ের দিলাল, **শাহ ওয়ালী উল্লাহ, ও **তপন চন্দ্র সোম* এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাঠ উন্নয়ন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
বর্তমানে কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসেবে *প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজীম* এর তত্ত্বাবধানে কলেজটি সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলছে। দুইটি ক্যাম্পাসে প্রায় *৮.৩৩ একর জমি* রয়েছে এবং পাঠদানের পাশাপাশি ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
---
???? *উপসংহার:*
হাতিয়া কলেজ শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়— এটি একটি ইতিহাস, একটি আন্দোলন, এবং একটি প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার। অতীতের সংগ্রাম এবং বর্তমানের সাফল্য মিলে এই কলেজ এখন দক্ষিণ হাতিয়ার উচ্চশিক্ষার এক অগ্রণী মাইলফলক।
সভাপতির বাণী
পড়! তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন (সূরা-আল্লাক্ব :১)। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদরাসা শিক্ষা শিক্ষাব্যবস্থাকে বেগবান ও আধুনিকায়ন করতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসসহ বিভিন্ন স্তরে তথ্য-প্রযুক্তি যে অবদান রাখছে তার জন্য বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। দেশের দ্বিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার বাস্তব সমন্বয় সাধন করে সঠিক ইসলামী আদর্শের বুনিয়াদে ১৩৭৯ সালে মাদরাসাটির শুভ সূচনা করেন আমার পিতা মরহুম অধ্যাপকা মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছীন। তারপর কালের বিবর্তনে মহান আল্লাহ্র মেহেরবাণীতে আজ তা পত্র-পল্লবে সুশোভিত হয়ে বিরাট মহীরূহে পরিণত হয়েছে। যাদের প্রচেষ্টা, অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা বর্তমান অবস্থানে পৌঁছেছে এবং এগিয়ে চলেছে, বিশেষ করে গভর্ণিং বডির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকম-লী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও সর্বস্তরের জনগণ, তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতারসহিত আন্তরিক মুবারকবাদ জ্ঞাপন করছি । ইসলামী জীবনাদর্শ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, অর্থনীতি ও সমাজনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মসলিম সন্তানদেরকে আদর্শ নাগরিক রূপে গড়ে তোলা, বিশেষ করে নৈতিক অবক্ষয় থেকে তরুন সমাজকে রক্ষা ও নারীকে পরিপূর্ণ দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে চারিত্রিক উৎকর্ষ ও মূল্যবোধ তৈরীর বাস্তব উদ্যোগই হোক এ প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা -এ দোয়াই করছি আমিন।
অধ্যক্ষের বাণী
প্রিয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকগণ,
আজ আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত। আমরা গর্বিত যে, আমাদের নতুন ওয়েব সাইট আজকের দিনে উদ্বোধন হলো। এই ওয়েব সাইটটি আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আরও আধুনিক, তথ্যসমৃদ্ধ এবং সুবিধাজনকভাবে তুলে ধরবে।
ডিজিটাল যুগে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কার্যক্রমের স্বচ্ছতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নতুন ওয়েব সাইটে শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার তথ্য, পরীক্ষার সময়সূচি, শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আপডেটগুলি সহজে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, অভিভাবকদের জন্যও থাকবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সরবরাহ, যা তাদের সন্তানের শিক্ষাগত উন্নতির উপর নজর রাখতে সাহায্য করবে।
এই ওয়েব সাইটটি আমাদের শিক্ষার মান বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যতের দিকে আরও একটি বড় পদক্ষেপ। আমরা বিশ্বাস করি, এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আরও সম্প্রসারিত এবং শক্তিশালী করবে।
এটি শুধু একটি ওয়েব সাইট নয়, এটি আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ভিত্তি। আমরা আশা করি, সবাই এই নতুন ওয়েব সাইটটির সঠিক ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।